আজকের নারায়ণগঞ্জ ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় শ্লীলতাহানির ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালের ভয় দেখিয়ে যুবতীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী সিফাত(২৫) কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। গতকাল শনিবার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার রেলগেইট এলাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
র্যাব-১১ মিডিয়া অফিসার সনদ বড়–য়ার পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ বন্দরে শ্লীলতাহানির ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালের ভয় দেখিয়ে এক যুবতীকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজে বাদী ০২ (দুই) জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার প্রধান আসামী ছিলেন সিফাত।
মামলা তিনি উল্লেখ করেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ রাত ৮ টায় ভুক্তভোগী নারী ও তার ১৩ বছরের চাচাতো ভাই সিয়ামকে নিয়ে বন্দর উপজেলার হান্নান মিয়ার দোকানের সামনে দিয়ে বাসায় ফেরার পথে নরপর্দী এলাকার নাহিদ মিয়ার ছেলে সিয়াম ওই যুবতীকে পথরোধ করে জোর পূর্বক একটি অজ্ঞাতনামা অটো গাড়িতে করে নরপদী স্কুলের সামনে নিয়ে যায়। পরে সেখানে সিফাত ও অয়নসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জন মিলে ওই নারীকে জোর পূর্বক ভাবে হাত পা বেঁধে পরিধানের জামা কাপড় টানা হেচড়া করে ছিড়ে ফেলে আপত্তিকর ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পরবর্তীতে ভূক্তভোগী নারী গত মঙ্গলবার ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সন্ধ্যা ৬টায় ঘারমোড়াল চাচাত বোনের মোবাইল ফোন করে ভুক্তভোগীকে নরপদী ব্রিজের সামনে আসতে বলে সিফাত। ভূক্তভোগী আসতে অস্বীকার করলে সিফাত ক্ষিপ্ত হয়ে ধারণকৃত আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার ভয় দেখায়। এতে ভুক্তভোগী নারী সম্মানের ভয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টায় বন্দর থানার কুড়িয়াভিটা ব্রীজের সামনে আসলে ওই সময় সিফাতের সাথে থাকা অয়ন ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দেয়। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সিফাতসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৭ জনের সহায়তায় লম্পট অয়ন ওই নারীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে কৌশলে পালিয়ে যায়।
এ মামলার প্রধান আসামী সিফাত (২৫)কে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার রেলগেইট এলাকা হতে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।