সোনারগাঁ প্রতিনিধি: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, এদেশের মানুষের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহন করার জন্য শেখ হাসিনা রাজনীতিতে এসেছিল। সে শুধু বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নয় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও প্রতিশোধ নিয়েছে। তিনি আজ রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার নয়াপুর মাঠে খেলাফত মজলিস কর্তৃক আয়োজিত গন সমাবেশ ও বৈষম্য বিরোধী বিপ্লবের শহীদদের স্মরন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

সোনারগাঁ উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, খেলাফত মজলিসের তিন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমদ, আতাউল্লাহ আমীন ও কুরবান আলী কাসেমী, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসের সূরা সদস্য অধ্যক্ষ ড.ইকবাল হোসাইন ভূইয়া, খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান হেলাল, নারায়ণগঞ্জ জেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি হোসাইন আহমদ, সোনারগাঁ উপজেলা খেলাফত মজলিসের সাধারন সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক, সহ সভাপতি মুফতি সাইদুর রহমান প্রমূখ।

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদি সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা আওয়ামীলীগের নেতা কর্মী ও দেশের জনগনে কথা চিন্তা না করে তার বোন শেখ রেহেনাকে নিয়ে পালিয়ে ভারত চলে গেছে, শেখ মুজিবুর রহমানকে আওয়ামিলীগই হত্যা করেছে, তাই তার লাশ ধানমন্ডি ৩২ এ পরে ছিল, আওয়ামী লীগের কেউ তখন তার লাশটাও ধরতে আসেনি। তাই শেখ হাসিনা দেশকে ভালোবেসে নয় তার বাবার হত্যার বিচার করতেই দেশে ফিরে এসেছিলো। তাকে দেশে এনে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখী করা হবে।

আল্লামা মামুনুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। আপনারা ৫০ বছর যাকে নেত্রী মেনেছেন সে রাজনীতি করেছে পরিবারকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য। সে চেয়েছিল এমন কাজ করবে যাতে কেউ আর এদেশে আওয়ামী লীগের নাম মুখে না আনে। কারন সে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত ছিল। তার বাবাকে হত্যা করার পর ক্ষমতায় এসেছিল আওয়ামী লীগ। এজন্য সে যখন পালিয়ে যায় আওয়ামী লীগের লক্ষ লক্ষ হাজার হাজার নেতাকর্মীদের কারো কথা ভাবে নাই। আমরা বৈষম্য বিরোধী একটি রাষ্ট্র এবং বাংলার জমিনে আল্লাহর প্রদত্ত বন্দোবস্ত চাই। এদেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দেশ গঠনের দায়িত্ব নিবে ইসলাম প্রেমি দল। এদেশকে আর কোন জুলুমকারীদের হাতে তুলে দেয়া হবে না।

সভায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সোনারগাঁ উপজেলার সাবেক সভাপতি শহীদ মাওলানা ইকবাল হোসাইন ও বৈষম্য বিরোধী বিপ্লবের শহীদদের স্মরনে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।