1. admin@ajkernarayanganj.com : admin :
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

সোনারগাঁয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অধ্যক্ষ ও তার স্ত্রীর পদত্যাগ

আজকের নারায়নগঞ্জ ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৪
  • ১১৫ বার পঠিত

সোনারগাঁ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন সোনারগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো:আশরাফুজ্জামান অপু ও তার স্ত্রী দিল আফরোজ। গতকাল রোববার দুপুরে অধ্যক্ষের কক্ষে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে স্বাক্ষর করে পদত্যাগ করেন তারা।
এছাড়া দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে কলেজের অফিস সহকারি জাহাঙ্গীর হোসেন ও জুয়েলকে ১৫ দিনের সময় বেধে দেওয়া হয়। এর মধ্যে কলেজের সকল হিসাব ও লুটপাট করা অর্থ ফেরত দিয়ে স্বেচ্ছায় তাদের পদত্যাগ করার হুশিয়ারি দেওয়া হয়।

সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মো:আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, মুঠোফোনের মাধ্যমে কলেজের অধ্যক্ষ ও তার স্ত্রীর পদত্যাগের বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তর। তারাই কলেজে পদায়ন করবেন।

জানা যায়, গত ২২ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সাধারণ শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের কাছে ৮ দফা দাবি করেন। দাবিগুলোর মধ্যে ছিলো বোর্ডের নিধারিত ফি এর অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধ ও পূর্বের অতিরিক্ত আদায়কৃত অর্থ ফেরত দেওয়া, কলেজে রশিদ বিহীন সকল লেনদেন বন্ধ, সনদ নিতে চাঁদা বন্ধ করা, কলেজে সকল ধরনের ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা সহ ৮ দফা দাবি করেন। পরে গতকাল রোববার সকাল থেকে কলেজের মুক্ত মঞ্চে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে আবারো ৮ দফা দাবি করেন। এসময় কলেজের অধ্যক্ষের স্ত্রী দিল আফরোজা বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ডেকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়ান। এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে করে সন্ত্রাসীরা ককটেল বিস্ফোরন ঘটায়। পরে শিক্ষার্থীরা ৮দফা দাবি থেকে ১ দফা দাবিতে অধ্যক্ষ ও তার স্ত্রী দিল আফরোজ এবং অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর হোসেন, জুয়েলের পদত্যাগ দাবি করেন। পরে অধ্যক্ষ ও তার স্ত্রী বাধ্য হয়ে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করেন।

এসময় অফিস সহকারি জাহাঙ্গীর হোসেন কলেজে থেকে পালিয়ে যায় ও জুয়েল কলেজে না থাকায় তাদের ১৫ দিনের সময় বেধেঁ দেওয়া হয়। এর মধ্যে কলেজের সকল হিসাব ও লুটপাট করা অর্থ ফেরত দিয়ে স্বেচ্ছায় তাদের পদত্যাগ করতে বলা হয়।

অধ্যক্ষ মো:আশরাফুজ্জামান ২০১৮ সালের ৮ আগষ্ট সোনারগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেন। এর আগে তিনি এই কলেজের মনোবিজ্ঞানের প্রফেসর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আর তার স্ত্রী এই কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন।অধ্যক্ষ ও তার স্ত্রীর পদত্যাগের পর শিক্ষার্থীরা তাদের সম্মানের মাধ্যমে গাড়ীতে তুলে বাড়িতে পাঠান।

Facebook Comments Box
এই জাতীয় আরও খবর