1. admin@ajkernarayanganj.com : admin :
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে জাল সনদের অভিযোগ

আজকের নারায়নগঞ্জ ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৪৭৫ বার পঠিত

সোনারগাঁ প্রতিনিধি: বিএড পরীক্ষার জাল (ভুয়া) সার্টিফিকেটের অভিযোগে ফেঁসে যেতে পারেন বৈদ্যের বাজার এন,এ,এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জেলা শিক্ষা অফিসার (কর্মকর্তা) মো. ইউনুস ফারুকী প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেনের সার্টিফিকেট জাল সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত করতে এসে তার মূল সার্টিফিকেটের অনুলিপি (ফটোকপি) নিয়ে যাওয়ার সময় এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বৈদ্যের বাজার এন,এ,এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন সাত বছর আগে ২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারী বৈদ্যের বাজার এন,এ,এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগ দান করেন। চাকুরিতে যোগদানের পর দুই বছর তিনি এমপিও ভুক্ত হননি। পরে অনেক দৌড়-ঝাঁপ করে টাকা-পয়সা খরচের পর এমপিও ভুক্ত হোন।

সূত্রটি জানায়, যোগদানের পর থেকেই তার বিএড সার্টিফিকেট ভুয়া এমন অভিযোগ স্কুল পরিচালনা কমিটিসহ উপজেলা শিক্ষা অফিস ও সংশ্লিষ্টদের কাছে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি এ সংক্রান্ত সংবাদও প্রকাশ করা হয় স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। কিন্তু তাতে কোন কাজ না হওয়ায় একই অভিযোগ গত নয় মাস আগে দেওয়া হয় জেলা শিক্ষা অফিসে। তাতেও কাজ না হওয়ায় তা জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া হয়। প্রায় সকল স্থানে অভিযোগ দেওয়া পর্যন্তই যেন দায়িত্ব হয়ে দাড়ায়। তারপর যেন আর পর নেই অবস্থা।

কিন্তু সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক হিসেবে মাহমুদুল হক যোগদানের পর নয় মাস আগে দেওয়া বৈদ্যের বাজার এন,এ,এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেনের বিএড সার্টিফিকেট সংক্রান্ত অভিযোগটি তার নজরে আসে।

পরে এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইউনুস ফারুকী আদিষ্ট হলে শুরু হয় তদন্ত। তারই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার জেলা শিক্ষা অফিসার (কর্মকর্তা) মো. ইউনুস ফারুকীর নেতৃত্বে সকালের দিকে একটি তদন্ত দল বৈদ্যের বাজার এন,এ,এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে আসেন। প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় কক্ষে প্রায় দেড় ঘন্টা অবস্থান করে এ বিষয়ে বিভিন্ন আলোচনা করেন। সবশেষ তার বিএড পরীক্ষার মুল সার্টিফিকেট এর ফটোকপি সংগ্রহ করে সাথে নিয়ে যান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। সূত্রটি জানায়, সার্টিফিকেট নিয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা চলে যাওয়ার সময় প্রধান শিক্ষক তার সনদটি সঠিক দাবি করেন। এ সময় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইউনুস ফারুকী বলেন, সার্টিফিকেট সঠিক হলে বেঁচে গেলেন না হয় ফেঁসে গেলেন। জাল হলে দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।

কথা হয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা সুপারভাইজার কাজল চন্দ্র পাল’র সাথে। জেলা শিক্ষা অফিস থেকে কোন কর্মকর্তা আজ সোনারগাঁওয়ের কোন স্কুলে এসেছেন কি-না তার জানা নেই বলে জানান। আর এসেও যদি থাকেন তাহলে উপজেলা মাধ্যমিক কার্যালয়ে কিছু জানানো হয়নি বলে জানান।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইউনুস ফারুকীর মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি গাড়ি চালাচ্ছেন বলে জানান এবং পরে কথা বলবেন। পরবর্তীতে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, বৈদ্যের বাজার এন,এ,এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের সময় ‘দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা বিএড পরীক্ষার সনদ জমা দেন। অথচ সনদ বিক্রিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে আদালতের আদেশে ২০১৬ সালে ‘দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা সকল সনদ অবৈধ ঘোষণা করে সরকার।

Facebook Comments Box
এই জাতীয় আরও খবর